মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির সারা দেশে এক কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ্ই কর্মসূচির পর দেশে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় আসবে ১২ কোটি মানুষ। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিলো। এক বছরের মধ্যে সব মিলিয়ে দেশে ২০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ ১২ কোটি, দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছে ৮ কোটি ও বুস্টার ডোজ ৩৫ লাখ দেওয়া হয়েছে। ভয়ের কোন কারন নেই। এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার পরও দেশে প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এতে বিভ্রান্তির কনো সুযোগ নেই।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ টিকা কেন্দ্রে গণটিকা কাযর্ক্রম পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষ টিকা বান্ধব। টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। কানাডায় মানুষজন টিকা নিবেন না বলে স্টাইক করেছে। অনেক দেশ টিকা নিবেন না বলে ভাংচুর করেছে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ টিকার নেওয়ার প্রতি আগ্রহ আছে। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা নিচ্ছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে লোকজন টিকা নিচ্ছেন। প্রত্যেক দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ ছিলো। বাংলাদেশ সেই টার্গেট আজ পার করে এসেছে। টিকার কোন সমস্যা না হয় সে কারনে টিকা দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ মানুষ কাজ করছে। টিকা কার্যক্রমে সব মন্ত্রনালয় কাজ করছে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য টিকা একটি প্রয়োজনী জিনিষ। টিকার মাধ্যমে আমারা নিজেদেরকে সুরক্ষিত করি। টিকা যারা নিয়েছেন তাদের মৃত্যু ঝুকি অনেক কম। করোনার দ্বিতীয় ঢেওয়ে যে পরিমান মানুষ হাসপাতালে গিয়েছিলো, তৃতীয় ঢেওয়ে খুব একটা মানুষ হাসপাতালে যায়নি। কারন দেশে অধিকাংশ মানুষ টিকা নিয়েছে। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের অধিকাংশ মানুষ টিকা নেয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকা আমাদের হাতে মজুদ আছে। আমাদের দেশে টিকার প্রয়োজন মিটে গেলে যে দেশ টিকা পায়নি সেই দেশকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এখনো যারা টিকা নেননি তাদেরকে টিকা নেওয়ার আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে সাটুরিয়া উপজেলার নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খাঁন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম আপেলসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিপ্লব চক্রবর্তী