কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো করোনা টিকাবিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে জরুরি আইন কার্যকর করার মতো অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছেন। ট্রুডো বলেছেন, এ ব্যবস্থার আওতা হবে ‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যুক্তিসঙ্গত এবং আনুপাতিক‘। এর মধ্যে সেনা মোতায়েনের বিষয়টিও থাকবে না।
সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা অনুযায়ী, আদালতের আদেশ ছাড়াই ব্যাংকগুলো বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত কারও ব্যক্তিগত আমানত বন্ধ রাখতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের উইন্ডসরের অ্যাম্বাসেডর সেতু থেকে টিকাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের রবিবার সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হলেও কানাডার রাজধানী শহরে শত শত বিক্ষোভকারী রয়ে গেছে। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ওই পথটি এক সপ্তাহ ধরে অচল ছিল। ট্রাকচালকদেরকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য টিকা দিতে হবে বা ফিরে আসার পরে কোয়ারেন্টিন করতে হবে- এ নতুন বিধানের বিরুদ্ধে একটি সমাবেশ হিসাবে ওই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের শুরু হয়েছিল। ঘটনাটি ক্রমে কানাডার সার্বিক কভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জন্য একটি ব্যাপক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এটি হচ্ছে কানাডীয়দের নিরাপদ রাখা, লোকের চাকরি রক্ষা করার বিষয়। ’
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের কারাদণ্ড বা জরিমানা করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা করার জন্য পুলিশকে ‘আরও সংস্থান’ দেওয়া হবে। জরুরি অবস্থার আইনটি অস্থায়ীভাবে এবং অত্যন্ত নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সমালোচকরা উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ২০২২ সালে টানা এক বছর নয়াদিল্লির কাছের প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করা ভারতীয় কৃষকদের সমর্থন জানিয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষার জন্য কানাডা সর্বদা পাশে থাকবে। ’
কানাডাজুড়ে বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করার পর প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জরুরি অবস্থা আইনের শরণ নিলেন।
সূত্র: বিবিসি