মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ২১ ডিসেম্বর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার লেখক অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত আনসার আল ইসলাম সামরিক শাখার প্রধান বরখাস্ত হওয়া পলাতক মেজর জিয়াকে ধরে রায় কার্যকর করার জন্যে চেষ্টা অব্যাহত আছে। লেখক অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে ৫ জনের মৃত্যু ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। মেজর জিয়া চুতুর লোক। আমাদের কাছে তথ্য আছে, মেজর জিয়া হয়তো অন্য দেশে গাঢাকা দিয়ে আছে। আমাদের চেষ্টা আছে তাকে ধরে নিয়ে আসার এবং রায় কার্যকর করার। মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।
স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, অভিজিৎ হত্যাকান্ডে অংশ নেন আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের একটি দল। তখন জঙ্গী উত্থাণ হয়েছিল বাংলাদেশে। আমাদের কথা হলো মামলায় সুষ্ঠ্য তদন্ত হয়েছে। তদন্তে যারা যারা জড়িত ছিল তাদের নাম এসেছে। আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ব্যর্থ করে দিয়েছিলো।
জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩৪ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৭ ফুট উচ্চতার রনাঙ্গনে যুদ্ধরত একটি মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য নির্মান করা হয়েছে।
ভাস্কর্য উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা ২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দূর্জয়, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খাঁন ও পৌর মেয়র রমজান আলী, শিবালয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান,হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী সালাম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা হাসান ইমাম বাবু প্রমুখ।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তৎকালিন ঢাকা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যুদ্ধকালীন সময়ের বিভিন্ন স্থানের যুদ্ধকালীন ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আরও বলেন, “রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। কারও করুণায় নয়। বঙ্গমাতার প্রেরণাকে আমরা কোনো দিনও ভুলব না। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার প্রেরণা আদর্শ ছিল।” এছাড়াও তিনি হরিরামপুরে দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একলক্ষ টাকা অনুূদানের ঘোষণাও দেন।
বিপ্লব চক্রবর্তী