ঢাকা থেকে নোয়াখালী ফেরার পথে ধর্ষণ মামলার ২ আসামি পালানোর ঘটনায় তিন পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরেক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়। এ ছাড়া পালানো দুই আসামির মধ্যে একজনকে অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার। এ ছাড়া ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা পুলিশ পরিদর্শক হলেন জিসান আহাম্মদ।

আসামিরা হলো, সোনাইমুড়ী উপজেলার বাট্টা গ্রামের মুজামিয়া বেপারি বাড়ির মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২৪) ও একই উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত মো. আবদুল লতিফের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলার আসামি মো. জুয়েল ও মো. দেলোয়ার হোসেনকে আদালতের নির্দেশে ঢাকার সিআইডিতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে বুধবার বিকালে সোনাইমুড়ী থানায় আনার পথে খাবার খেতে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার মহাসড়কের পাশে আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে আসামিসহ প্রবেশ করেন পুলিশ সদস্যরা।
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে খাওয়া শেষে আসামিরা পুলিশের পাহারায় হোটেলের টয়লেটে যায়। সেখান থেকে তারা টয়লেটের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এসআই ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তারদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক জিসান আহাম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশের হেফাজত থেকে পালানো আসামি মো. দেলোয়ার হোসেনকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই আসামি বর্তমানে কামরাঙ্গীর চর থানায় আছে। এ ছাড়া অপর আসামি মো. জুয়েলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ জেলার গাজারিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।