পরীমনি এখন ভীষন একা। একসময় যারা পরীমনির হেরেমখানায় নিয়মিত যাতায়াত করতো তারা এখন তােক আর স্বীকার করেছনা। একসময় যারা পরীমনির সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেশা করে বুঁদ হয়ে থাকতেন তারা এখন কেউ নেই পরীমনির সাথে। এখন তার ব্যবহৃত জিনিস নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পরীমনির ব্যবহৃত ফিয়াট অটোমোবাইলসের ‘মাসেরাতি’ ব্র্যান্ডের গাড়িটি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা দামের এই গাড়ি পরীমনিকে কে দিয়েছে, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।

সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়িটি পরীমনিকে কে উপহার দিয়েছেন, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। যদিও পরীমনির ওই গাড়ি কেনার বিষয়ে বরাবর আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। বলেছেন, তিনি গাড়িটি ব্যাংক লোন নিয়ে কিনেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, পরীমনি গাড়িটি ব্যাংক লোন অথবা ক্যাশ টাকা দিয়ে কেনননি।

পরীমনিকে গাড়ি উপহার দেওয়া প্রসঙ্গে সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিনের নাম উঠে এসেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। পরীমণিকে গাড়ি উপহার দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা জানান।

মাসরুর আরেফিন লেখেন, আমার নিজের একটাও গাড়ি নেই। একটা সামান্য মারুতি বা একটা টয়োটা করোলা গাড়িও না। ব্যাংক আমাকে চলার জন্য গাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে, তাতেই চড়ি। চাকরির শেষে নিশ্চয়ই কোনো ব্যাংক থেকে কার লোন নিয়ে একটা গাড়ি কিনে তাতে চড়বো।

তিনি লেখেন, পরীমনি নামের কাউকে দেখিনি। অতএব তার নম্বর আমার কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এমনকি ‘বোট ক্লাব‘ ঘটনার আগে পর্যন্ত পরীমনি নামটাও শুনিনি। আমার মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল যে, কে এই পরীমনি?