কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের কাঞ্চন মিয়ার পুকুরে রাতের আধারে কে বা কারা বিষ ঢেলে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামের মৃত লাল মামুদের ছেলে কাঞ্চন মিয়ার পুকুরে কে বা কারা ৩ জুলাই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করেছে। ৪ আগষ্ট বুধবার ভোরে নিজ পুকুরে মৃত মাছগুলি ভেসে উঠতে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কাঞ্চন মিয়া। আশেপাশের লোকজন পুকুর থেকে মৃত মাছ গুলো তুলে পুকুরপাড়ে স্তুপাকারে জমা করে রেখেছেন।

মাছচাষী কৃষক কাঞ্চন মিয়া বলেন, এলাকার প্রতিবেশি কয়েকজনের সাথে পূর্বের একটি ঘটনা নিয়ে শত্রুতা ছিল। তাঁদের কয়েকজনকে মঙ্গরবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে নিজের পুকুরপাড় ঘেষা রাস্তায় আড্ডারত অবস্তায় দেখতে পান। কাঞ্চন মিয়াকে দেখে তারা স্থান ত্যাগ করার পর পুকুরের চারিদিকটা দেখে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর হওয়ার সাথে সাথেই পুকুরে এসে দেখতে পান সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
কাঞ্চন মিয়া জানান, নিজের ৬০ শতাংশ ভূমিতে তিন বছর যাবত মাছ চাষ করছেন। তাঁর পুকুরে পাঙ্গাস, রুই, কাতল, মৃগেল, ব্রিগেড, কার্ফু সহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন প্রকার মাছচাষ করেছেন। মৃত প্রতিটি মাছের ওজন এক থেকে প্রায় দুই কেজি।
মাস ছয়েক আগে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ ছাড়া হয় পুকুরে। সব মিলিয়ে কাঞ্চন মিয়ার আট থেকে নয় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন ওই পুুুুুকুরে। মাছ গুলো বিক্রয় করার আগেই রাতের আঁধারে বিষ দিয়ে মাছগুলি নিধন করায় আমি পথের ফকির হয়ে গেলাম।

তাড়াইল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জয়নাল আবেদীন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসছি। মাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধনের ঘটনাটি দুঃখজনক। কাঞ্চন মিয়াকে থানায় মামলা করার কথা বলেছি। মামলার রুজু করার পর তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।