মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার এক তরুণীকে ধর্ষণ করায় ভিকটিমের মা শুক্রবার রাতে ধর্ষক জাহাঙ্গীর (২২) এর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিম তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষক জাহাঙ্গীর উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। ওসি তদন্ত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ভিকটিমের মা জানান, আমার মেয়েটির সাথে ওই ছেলেটি স্কুলে পড়া অবস্থায় বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ করত। পরে আমি আমার মেয়েকে ২৪ জুন ২০১৯ সালে বিয়ে দিয়ে দেই। কিন্তু ছেলেটি আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পরেও যোগাযোগ রেখেছে। পরে জানতে পারি, ওই ছেলেটি আমার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তাকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ছেড়ে দিবে বলে ভয় দেখায়। অবশেষে আমার মেয়ে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হয়। গত ৩ জুলাই ২০২০ তারিখে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে আবারো ধর্ষণ করে। এ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন সময় গ্রাম্য বৈঠক বসেছে। তারা খুবই প্রভাবশালী। আমরা গরীব মানুষ। মুখখুলে বলতেও পারি না। এতদিন চুপ ছিলাম। গ্রামের লোকজনের নিকট বিচার চেয়েছিলাম। কোন সুরাহা হয়নি। তাই কি আর করব বাধ্য হয়ে ধর্ষণের মামলাটি করেছি। আজ তাকে পুলিশ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। আমার মেয়ের যে সংসার ভেঙেছে, আমার মেয়ের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের বড় বোন শিল্পী আক্তার জানান, সত্যতা যাচাই করে মেডিকেল রিপোর্ট আসলে যা শাস্তি হয় তাই আমরা মেনে নিব।
ওসি তদন্ত উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা শনিবার রাতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিম মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আজ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।