মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ২৬ মে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শানবান্দা গ্রামের একটি কাঠবাগান থেকে শিশু শিনহা আক্তারের (৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী শিশু শিনহা’র ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ধর্ষক সিফাত হোসেন ওরফে শাকিলকে (১৩)।
বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) হাফিজুর রহমান। এর আগে শিনহাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয় কিশোর শাকিলকে।
এসব বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বলেন, ২১ মে খেলাধুলার কথা বলে শিনহাকে বাড়ি থেকে আধ কিলোমিটার দূরের একটি কাঠবাগানে নিয়ে যায় প্রতিবেশী সিফাত হোসেন ওরফে শাকিল। সেখানে ধর্ষণের সময় কান্নাকাটি করা শুরু করে শিনহা এবং বিষয়টি বাড়ির লোকজনকে বলে দিবে বলে জানায় সে।
যে কারণে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে শিনহাকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয় কিশোর শাকিল। ধর্ষণ শেষে শিনহার গঁলায় থাকা রুপার চেইন এবং কানের দুল নিয়ে নিজ বাড়িতে রেখে দেয় শাকিল। পরে শাকিলের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চেইন ও কানের দুল শাকিলের বাড়ির আলমারি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শানবান্দা গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে শিনহা আক্তার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। আর তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হওয়া শাকিল একই এলাকার প্রবাসী শফিকুল ইসলামের ছেলে।
মানিকগঞ্জ সদর থানায় প্রেস ব্রিফিংকালে সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাস আকবর আলী খান, শিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ জামিনুর রহমান, এস আই মোঃ টুটুল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।