কর্মমূখী মানুষের চাপ বাড়ছে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে। যানবাহনের তুলনায় মানুষের বাড়তি চাপ থাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকেরা। ন্যায্য ভাড়ায় চাহিদা অনুযায়ী যানবাহন না থাকায় বাধ্য হয়েই বাড়তি ভাড়ায় কর্মস্থলে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের ভীড় দেখা গেছে। ফেরিঘাটে ১৭টি ফেরি সচল থাকায় কোন রকম দূর্ভোগ ছাড়াই রাজধানীতে ফিরছে যাত্রীরা। তবে, রাজধানীতে ফিরতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
রোববার সকালে সরেজমিনে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এমন চিত্র দেখা যায়। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নবীনগরের সাধারণ সময়ের ভাড়া ৩০ টাকা। আর টিকেট কাউন্টারের গাড়িগুলোর টিকিটমূল্য ৪০ টাকা। তবে এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হাকডাক দিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে ১০০ টাকায় নবীনগরে যাত্রী নিচ্ছে বিভিন্ন বাস শ্রমিকেরা।
কুষ্টিয়া থেকে আগতে একজন যাত্রী বলেন, কুষ্টিয়া থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসেন তিনি। সেখান থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসেন ১০০ টাকায়। অথচ কুষ্টিয়া থেকে ৩০০ টাকায় বাসে করে নবীনগর যাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুভযাত্রা পরিবহনের এক শ্রমিক বলেন, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নবীনগরের ভাড়া ৩০/৪০ টাকা হলেও এখন ১০০ টাকায় যাত্রী নিচ্ছে সবাই। তাই চালকের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনিও ১০০ টাকায় যাত্রীর জন্য হাকডাক দিচ্ছেন।
একই অবস্থা ঢাকামুখী প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালকদের। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি টাকায় যাত্রী নিচ্ছে তারা। আর বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়ায় কর্মস্থলে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।
এসব বিষয়ে জানতে মানিকগঞ্জ ট্রাফিক বক্সের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়া ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার প্রায় ৩৫ কিলোমিটার অংশে প্রশাসনের তেমন কার্যক্রম দেখা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, বহরে ১৭টি ফেরির মধ্যে সবগুলো ফেরিই সচল রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।