সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আরিচা-কাজিরহাট নৈারুটে স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের ৭ জন নেতার নামে মামলা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বাদি হয়ে শিবালয় থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক নকুল চন্দ্র শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, শিবালয় সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম এবং যুবলীগের কর্মী মো. জিন্নাহ।

মামলার এজাহার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্পিডবোট ও লঞ্চ চলাচল বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বুধবার (১২ মে) কতিপয় ব্যক্তি আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে স্পিডবোট ও লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করেন। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ তার সহকর্মীদের নিয়ে আরিচা ঘাটে গিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেন। এরপর তিনি সেখানে অবস্থান করলে তার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস এবং স্পিডবোট চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কুদ্দুসের নির্দেশে অন্য নেতা-কর্মীরা সরকারি কাজে বাধা দিতে থাকে এবং বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং ধাক্কা মেরে লাঞ্ছিত করেন।