মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ২৫ মার্চ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু হত্যার অন্যতম আসামী উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আঙ্গুরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বৃস্পতিবার আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন জালাল উদ্দিন। এনিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডে এপর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং ভূক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ১ মার্চ দিবাগত রাতে স্থানীয় সাংসদ মমতাজ বেগমের বাড়িতে গানের অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু (২৭)। রাত একটার দিকে উপজেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। পরের দিনে (২ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ নিহত ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেনের ভাই রিয়াজুল করিম বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সিঙ্গাইর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মো. দুলাল ও তাঁর বড় ভাই উপজেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা জালাল উদ্দিন ওরফে আঙ্গুরকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ইমরান মোল্লা (২০), ইমান আলী (৩০) এবং সোহান মোল্লাকে (১৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন (৪ মার্চ) আসামি ইমরান ও ইমান আলীকে অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এবং শিশু সোহানকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়। এ দিন আসামি ইমরান ও ইমান আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলামের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন । ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দেন উপজেলার চর নয়াডাঙ্গী গ্রামের কাজী আয়নাল হকের ছেলে কাজী কাউছার (১৮) এবং চর আজিমপুর গ্রামের সায়েম ফকিরের ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ ওরফে রাকিব (১৮)। এরাও হত্যায় স্বীকার করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বলেন, ফারুক হোসেন মিরু হত্যার অন্যতম আসামী উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আঙ্গুরকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বুধবার রাতে ধামরাই উপজেলা ভুবননগর গ্রামের মনোয়ারের বাড়ি থেকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার আসামীকে আদালতে তোলা হলে আসামী ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের সাথে নিজেকে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা ফারুক হোসেন মিরুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বলে আদালকে স্বীকার করেছেন। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তর চেস্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিপ্লব চক্রবর্তী