মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১৬ মার্চ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। অনির্বাচিত সরকার একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করেছে। ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পযর্ন্ত ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তিনি বলেন- ক্ষমতাসীন বা সরকার নিজেদের প্রয়োজনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনের অধিকার হরণ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে আরো বলেন- আজকে যারা সরকারে আছেন, তারা নির্বাচিত সরকার নন। তারা বেআইনীভাবে নিজেদের নির্বাচিত ঘোষনা করে, নির্বাচনের আগের রাতে ভোট করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন। আর এখন ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করে রাখবার জন্য তারা নির্যাতন নিপিড়ন চালাচ্ছে।
তিনি বলেন-সরকার আইনের আশ্রয় নিয়ে দেশে এমন কিছু আইন তৈরি করেছে যেগুলো মানুষের অধিকার ক্ষুণ করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে তারা আজকে গোটা দেশের সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করে ফেলেছে এবং রাস্ট্রবিরোধী আইন করেছে।
তিনি বলেন-বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এখন যারা ক্ষমতায় বসে আছে তারা বেআইনীভাবে আছে। মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন যারা করছে সেটা জোরদার করতে হবে। অন্য কোন রাস্ট্রের কাউকে বলে কোন লাভ হবে না। এখানকার মানুষদেরকেই জেগে ওঠতে হবে তাদের অধিকার পাওয়ার জন্য।
তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন-সরকার তিস্তা চুক্তি করবে না। বহুদিন আগে থেকেই তারা বলছে চুক্তি করবে। কিন্তু এখন পযন্ত তারা করেনি। পররাস্ট্রমন্ত্রী যা বলছে তা সঠিক নয়। ১০ বছর আগে কোন চুক্তি হয়নি। চুক্তি হলে তো আমরা পানি পেতাম। আমরা কেন পানি পাচ্ছি না। কিছুই হয়নি।
ফখরুল বলেন-ভারতের সাথে যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু দিয়েই যাচ্ছে। কিছু পাচ্ছে না। আমরা এখন পযর্ন্ত সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে পারিনি। নদী গুলোর পানির হিস্যা পাইনি।
জিয়াাউর রহমানের খেতাব বাতিল করার বিষয়ে তিনি বলেন- জামুকা এবং সরকারের ক্ষমতা নেই তার খেতাব বাতিল করার। এটা করা হলে স্বাধীনতার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করা হবে। দেশের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা হবে।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দশম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া এলাকায় মির্জা ফখরুল পৌছে প্রথমে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রিতা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, দেলোয়ার পুত্র খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ডাবলু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বিপ্লব চক্রবর্তী