মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ৬ জানুয়ারী
যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী মনি ওরফে মিতু (২৪)কে হত্যার দায়ে একরামুল হক রবিন নামে এক স্বামীকে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছে আদালতের বিচারক। বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী একরামুল হক রবিন জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল জানান, ২০০৭ সালে চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় আশ্বিনপুর গ্রামে মনিরুল ইসলামের মেয়ে মনির (২৪) পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মনির পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে একরামুল হক। ওই সময় এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা রবিনকে দেন মিতুর পরিবারের লোকজন। পুনরায় মিতুর পরিবারের নিকট সাড়ে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রবিন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই রাতে মিতুকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে পালিয়ে যায় রবিন। এর পরদিন অর্থ্যাৎ ১৮ জুলাই এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় মিতুর মামা ইকবাল হোসেন দাবি হয়ে মিতুর স্বামী একরামুল হক ও শ্বশুর রফিকুল ইসলামকে আসামী করে মামলা করেন। ২০০৯ সালে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আসামী একরামুল হক রবিন ও তার বাবা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
এর পর মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী একরামুল হক রবিনের বিরুদ্ধে মুত্যুদন্ডের রায় ঘোষনা করেন এবং রবিনের বাবা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।