দেশের বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনে
ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে বলে
জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার
দেশব্যাপী স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রথম ধাপের বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে
ওবায়দুল কাদের প্রচার কার্যক্রম ও ভোটের সুষ্ঠু-নিরাপদ পরিবেশ বজায় রেখে
নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ ভোটারদেরও ধন্যবাদ জানান।
মঙ্গলবার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ব্যাপক জয়
পেয়েছেন। যা শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার বহিঃপ্রকাশ।
২৩টি
পৌরসভার ঘোষিত ফলাফলে দুইটিতে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন জানিয়ে
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মনগড়া অভিযোগ না করে মাঝপথে ভোট
প্রত্যাখ্যানের নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে শেষপর্যন্ত ভোটের
মাঠে থাকার জন্য বিএনপিকেও ধন্যবাদ।
প্রতিটি
পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে জণগণের আস্থা বেড়েছে এবং মানুষ স্বস্তি
প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইভিএমের
বিরোধিতা করলেও তাদের প্রার্থীরা এ পদ্ধতিতে বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে
প্রমাণিত হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে কোনোভাবেই অনিয়মের সুযোগ নেই।
নির্বাচন
কমিশনের প্রাথমিক তথ্যমতে, পৌরসভাগুলোতে ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে।
কোথাও কোথাও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশও পড়েছে। এতে জণগণ ভোট দিতে পারে না বলে
বিএনপির যে মিথ্যা অভিযোগ, তা আজ অসারতা প্রমাণিত হয়েছে।
পৌর-নির্বাচনে
আবারও প্রমাণ হয়েছে সরকারের প্রতি জনগনের আস্থা বেড়েছে, বিপরীতে বিএনপির
প্রতি জনআস্থার পারদ ক্রমশ কমছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ
সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য উদ্দেশ্য করে বলেন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে কচ্ছপের
জেতার দিন এখন আর নেই, ইতিহাসের পাঠ থেকে শিক্ষা নিয়ে খরগোশ এখন সচেতন।
তিনি বলেন, খরগোশের গতিকে ফখরুল সাহেব যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে বলব, জননন্দিত আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সমৃদ্ধির সোনালী সোপানে। শেষ ধাপে পৌঁছানোর আগেই আমাদের মাঝপথে থামার বা ঘুমানোর কোনো সুযোগ নেই।