স্টাফ রিপোর্টার
দ্বিতীয় দফায় মানিকগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালিগঙ্গা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাংগন দেখা দিয়েছে শহর রক্ষা বাঁধে। গত কয়েক দিনের ভাংগনে বাঁধের বেশ কিছু অংশ নদীতে চলে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে বাড়িঘর, দোকানপাট। জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০১০ সালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া ও বড় সুরুন্ডি এলাকায় কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনরোধে সিসি ব্লক ফেলে শহর রক্ষা বাঁধটি তৈরী করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১২ সালে বাঁধটি নির্মান কাজ শেষে হয়। চলতি বছর বন্যায় বোয়ালিয়া এলাকায় বাঁধের সিসি ব্লকের নীচে ভাংগন দেখা দেয়। দ্বিতীয় দফায় কালিগঙ্গা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কয়েক দিন ধরে ভাংগনের তীব্রতা বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে নদীর তীব্র স্রোত সৃষ্টি হওয়ায় নীচের মাটি সড়ে সিসি ব্লকসহ নদীতে ডেবে যাচ্ছে। বাঁধের বেশ কিছু অংশ সম্পূর্ন নদীতে চলেগেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত তিন বছর ধরেই একটু একটু ভাঙন চলছিল এবারের বন্যা দ্রুতগতীতে ভাংগন শুরু হয়েছে। তারা বলেন প্রথম থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কিছুদিন আগে এলাকাবাসী বাঁশ ও বেড়া দিয়ে ভাঙনরোধের চেষ্টা করেছে। কিন্তু ¯্রােতের তীব্রতার জন্য ভাঙন ঠেকানো যায়নি।

সরজমিনে দেখ গেছে বড় সরুন্ডি বোয়ালিয়া এলাকায় বাঁধের চারটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বোয়ালিয়া এলাকায় ৫০ মিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, ২০১০ সালে বাঁধটি নির্মান কাজ শুরু হয়ে ২০১২ সালে শেষ হয়। কালীগঙ্গা নদীর তীব্র স্রোতে বাঁধটির চারটি অংশে ভাঙেন দেখা দিয়েছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।