স্টাফ রিপোর্টার, ১৯ জুলাই।
মানিকগঞ্জে পদ্মা ও যমুনার পানি কিছুটা কমলেও শাখা নদীর পানি অব্যাহত হারে বেড়েই চলছে,পানি বন্দি হয়ে পড়েছে জেলার নি¤œ অঞ্চলের মানুষ। শিবালয়, ঘিওর, দৌলতপুর, হরিরামপুর, সাটুরিয়া ও সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। সেই সাথে জেলা শহরের আশেপাশের আরো নতুন নতুন এলাকাও প্লাবিত হচ্ছে। চরাঞ্চলে গবাদিপশু নিয়ে বানিভাসি মানুষজন নিদারুন কষ্টে দিন যাপন করছেন। এখানে বিশুদ্ধ পানি ও রান্না করা খাবারের পাশাপাশি গো- খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন উচুস্থানে অথবা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) ফারুক আহমেদ জানান, আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার কমে এখন বিপদ সীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রন কন্টলরুমের তথ্যানুযায়ী মানিকগঞ্জে প্রায় ২৩১ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যার কারনে এ পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এ অঞ্চলের পাচটি উপজেলার প্রায় ৭২৯ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অপরদিকে বন্যার ফলে জেলার পাঁচটি উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার প্রায় ৯ হাজার ১৯৬ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে সম্পুর্ন তলিয়ে গেছে। ৫,৯৯৫ মিটার জমি ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে। তন্মধ্যে দৌলতপুরে যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকায় ২৩৫০ মিটার, শিবালয়ে পদ্মা-যমুনা তীরবর্তী এলাকায় ১৭৫০ মিটার, হরিরামপুরে পদ্মা নদী তীরবর্তী ৫৯৫ মিটার, সাটুরিয়ায় ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী ১১০০ মিটার ও ঘিওর উপজেলায় প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা রয়েছে।
এপর্যন্ত গৃহিত ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে ১৩০ মে:টন চাল, ১৭০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার শিশুখাদ্য এবং ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার গবাদি পশুর খাদ্য ।