বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। গত ২৯ জুন সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিং বার্ড লঞ্চ দুর্ঘটনার শিকার হলে নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

বুধবার (৮ জুলাই) দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করে নৌ পুলিশ।

লঞ্চ দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনা কবলিত এমএল মর্নিং বার্ড নামে ওই যাত্রীবাহী লঞ্চ মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামে আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় ৩৪ জন জনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গত ৩০ জুন সদরঘাট নৌপুলিশের এসআই শামসুল আলম বাদী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়া ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলাটি তদন্তে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার।  

এ ঘটনায় ময়ূর-২ এর মাস্টার, চালক ও সুকানিসহ অন্যদের দায়িত্বে অবহেলাকেই মূলত দায়ী বলে মনে করা হয়। এছাড়া ডুবে যাওয়া ভাঙাচোরা ছোট আকারের লঞ্চ মর্নিং বার্ডের চলাচলে অনুমোদনের বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই অনুমোদনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিকেও দায়ী করা হয়েছে।

সূত্র- কালের কন্ঠ