স্টাফ রিপোর্টার, ১৫ জুন। মানিগঞ্জের ৩ টি উপজেলার ৭টি এলাকা রেডজোন ঘোষনা করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত ৮ টা থেকে থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌর সভা যৌথ ভাবে রেডজোন এলাকার বেস্টনি স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় মাইকিং করে রেডজোন এলাকায় নিদের্শনা প্রচার করেন।
রেডজোন এলাকা হচ্ছে- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সেওতা, পশ্চিম দাশড়াসহ মানিকগঞ্জ প্রধান শহর ও গঙ্গাধরপট্টি। ঘোষণা অনুযায়ী জেলা শহরের শহীদ রফিক সড়ক, গার্লস স্কুল সড়ক, গঙ্গাধরপট্টি, থানা রোড, খালপাড় থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের আগ পর্যন্ত শহীদ স্মরণী ও মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা থাকবে রেডজোনের আওতায়। এছাড়া, রেডজোনের আওতায় পড়েছে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোরা ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়ন ও সিংগাইর পৌরসভা।

নির্দেশনা অনুযায়ী রেডজোন ঘোষিত এলাকার কোন ব্যক্তি ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এই এলাকার কেউ বাইরে কিংবা বাইরের কেউ এই এলাকায় আসা যাওয়া করতে পারবেন না। সকল ধরণের শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ থাকবে। রেড জোন এলাকায় অনুমোদনহীন কোন যানবাহন চলাচল করতে পরবে না। মসজিদে নামাজের সময় ইমাম মোয়াজ্জিনসহ ৫ জন এবং জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন। যথারীতি আওতামুক্ত থাকবে সাংবাদিকসহ জরুরী সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারী ও ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানায় কমর্রত ব্যক্তি ও তাঁদের বহনকারী গাড়ী।

উল্লেখিত রেডজোন ঘোষিত এলাকাগুলিতে আরোপিত আইন বাস্তবায়নে তিনটি উপজেলায় গঠন করা হয়েছে ভিজিলেন্স টিম। সিংগাইর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হযেছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামান, সাটুরিয়া উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হযেছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আকতার এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হযেছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: নাদিরা আখতার।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, আদেশে বর্ণিত সকল আইন কঠোরভাবে পালন করা হবে। ঘোষিত এলাকাগুলির চারপাশে বেষ্টনির মাধ্যমে আটকে দেওয়া হবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসারসহ বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটির সাথে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমান দোকান থাকবে। কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঔষধ পৌঁছে দিবে।
রেডজোন ঘোষিত এলাকায় নির্দেশিত আইন মান্য করে চলতে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।