মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ১১ জুন
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা টেপড়ি বাজারে মারামারির ঘটনায় নূরুল ইসলাম (৪৫) নামে একজন নিহত হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলের সীমানা জটিলতায় দৌলতপুর ও নাগরপুর থানায় মামলা নিতে গড়িমশি করেন। অবশেষে ৯৯৯এ কল পেয়ে বুধবার রাতে হত্যা মামলাটি রেকর্ড হয় দৌলতপুর থানায়।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাগরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিহালী গ্রামের ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের শাহিন ওরফে আনন্দের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ টেপড়ি হতে ভাদ্রা সড়কের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানায় অভিযোগও আছে। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে সাইফুল টেপড়ি বাজারে চা খেতে গেলে সেখানে তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষ শাহিন. কুদ্দুস ও মজিবর । এ সময় সাইফুলকে বাচাঁতে পাশের দোকানদার বিহালী গ্রামের আক্তার খানের ছেলে নুরুল ইসলাম এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে মারামারির পর নিহতের ঘটনায় নাগরপুর ও দৌলতপুর থানা পুলিশ উভয়ই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মারামারির ঘটনাস্থল টেপড়ী বাজারের কিছু অংশ দৌলতপুর ও কিছু অংশ নাগরপুর উপজেলায় পড়েছে। ঘটনাস্থলের সীমানা নিয়ে জটিলতার কারনে তাৎক্ষনিক কোন থানাই মামলা নেয়নি। এছাড়া বাদি বিবাদীর বাড়ি নাগরপুর উপজেলায়। পুলিশের গড়িমশির কারণে ৯৯৯এ কল দিয়ে ঘটনাটি জানান ভাদ্র ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, বুধবার টেপরী বাজারে মারামারির ঘটনায় নূরুল ইসলাম নামে একজন মারা যান। টেপরী বাজার দৌলতপুর ও নাগরপুর উভয় উপজেলার সীমানায়। তবে মারামারির ঘটনা ঘটেছে নাগরপুর উপজেলার সীমানায়। ৯৯৯ কল পাওয়ার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বুধবার রাতে নিহতের ছেলে নিশাদ খান বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় এখনো কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। নিহতের লাশ বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হসন্তান্তর করা হয়েছে।