মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১৯ মে
অশোভ আচরণ, দুর্নীতি, ইউপি সদস্যদের গায়ে হাত দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে হরিরামপুর উপজেলা বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রেজার বিরুদ্ধে ১১ জন ইউপি সদস্য অনাস্থা আনাসহ তার অপসারণ দাবি করে জেলা প্রশাসকের কাজে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অনাস্থা পত্রে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, বাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রেজা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তিনি নিজের ইচ্ছা মত ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করেন। কোন কিছু জানতে চাইলে ইউপি সদস্যদের সাথে অশোভন আচরন, গায়ে হাত তোলার মত ঘটনা ঘটিয়েছেন। এছাড়া মাসিক মিটিং না করেন না একক সিদ্ধান্ত অনিয়মসহ দুর্নীতি করছেন। এছাড়া বিগত দিনে টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি অর্থ, গৃহহীনদের ঘর বরাদ্দ, মাতৃত্বকালিন ভাতাসহ বিভিন্ন কার্ডের বিপরীতে চেয়ারম্যান সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা। অপর দিকে ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (এনজিও) দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চলতি ও বয়েকা ট্যাক্সের আদায় করা ১২ লক্ষ টাকা পরিষদের তহবিলে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান কাজী রেজা আত্মসাত করেছেন ।
গত ১৭ মে ইউপি সদস্যরা জরুরী সভা করে চেয়ারম্যান কাজী রেজার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনাসহ তার অপসারন দাবি করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন, মজিবুর রহমান, মজিবুর পীরসাহেব, মহিদুর রহমান খান, আব্দুল করিম, নূরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মনির হোসেন, বাসিয়া বেগম, সামসুন্নাহার ও বিলসিক বেগম।
এব্যাপারের ইউপি চেয়ারমান কাজী রেজা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব না থাকায় ৫-৬ মাস ধরে মাসিক মিটিং করা হয় না। করোন ভাইরাসে প্রার্দুভাবে সরকার থেকে বরাদ্দকৃত চালের কেরিং খরচ বাবদ প্রত্যেক সদস্যকে ৪শ টাকা করে দিতে বলা হয়েছিল ও ইউপি সদস্যদের অনৈদিক দাবি মেনে না নেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। ট্যাক্সের টাকা আত্মসাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন একটি এনজিও দিয়ে ২লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে যা ইউনিয়ন তহবিলে জমা আছে।
অপর দিকে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস জানান, বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা পত্রটি হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।