দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পিকটাইম চলছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময়ে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৭ জন। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া একদিনে মৃত্যুর রেকর্ডও হয়েছে আজ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১৪ জন।
দেশে এখন করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৫৭ জনে পৌঁছাল। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জন হল। ২৪ ঘণ্টায় ৩৬টি ল্যাবে ৫ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এ যাবত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৫৭ জনের নমুনা।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত বুলেটিনে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য দেন।
এক সপ্তাহ ধরে আক্রান্তের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও শনিবার আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। এই দিন ৬৩৬ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। কিন্তু মাত্র এক দিনের মাথায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩৬টি ল্যাবে মোট ৫ হাজার ৬৩৮ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মৃতদের ১৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন এবং নারী ৪ জন। নারীদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, একজনের ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে; আর ৬১-৭০ বছর বয়সী ছিলেন দুই জন। আর পুরুষদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে তিন জন এবং একজনের বয়স ছিল ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে।
তিনি জানান, সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৩৬ জন, এ নিয়ে মোট ২ হাজার ৬৫০ জন সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ১৬৯ জনকে, বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ১১৫ জন।