সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেখেছেন নজরধারীতে এরই ধারা বাহিকতায় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস এর নির্দেশনায় সকাল হতে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল এর নেতৃত্বে সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান পরিচালিত হয়। এতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী আদার দাম বেশি রাখায় ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালীন তারা জানতে পারেন আদা ব্যবসায়ী ও মধ্য-স্বত্বভোগীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। ফলে সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান চালিয়ে চারিগ্রাম বাজারে এরশাদ স্টোর ,আক্কাস স্টোর ও ফিরোজ স্টোর, সাহরাইল বাজারে খোকন মোল্লা স্টোর, মানিকনগর বাজারে মিজান স্টোর, বায়রা বাজারে সংকর স্টোরকে জরিমানা করা হয়। এসময় জয়মন্টপ বাজারে অভিযানে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। পরিচালিত অভিযানে অতিরিক্ত দামে আদা বিক্রির অপরাধে উল্লেখিত ছয়টি  প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার আইন,২০০৯ অনুযায়ী জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযানে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি বাজারে ব্যবসায়ীরা আদার কেজি বিক্রি করছিল ৩০০- ৩৫০ টাকায়। আদা বিক্রেতাদের কাছে ক্রয় রশিদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা নানা অজুহাত দেখায়। জানা যায় অভিযান চলাকালীন বিভিন্ন পাইকারি বাজারে আদার সর্বোচ্চ পাইকারী দাম ছিল ১৭০ টাকা। এ সময় অতিরিক্ত দামে আদা বিক্রির দায়ে ৬ ব্যবসায়ীকে ১,০০০টাকা করে জরিমানা করে নগদ আদায় করা হয় এবং কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতি কেজি আদা সর্বোচ্চ ২০০ টাকা দরে বিক্রয় করার নির্দেশ দেয়া হয়। অভিযানের পর আদার দাম কমেছে কেজিতে ১২০-১৫০ টাকা। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল ব্যবসায়ীদের বলেন ক্রয় রশিদ এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সংরক্ষণ না করলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।

মিলন মাহমুদ