জনমত ডেস্ক, ২৫ এপ্রিল। আরও রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা বাংলাদেশের কাঁধে চাপাতে চাচ্ছে জাতিসংঘ। গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকা দু’টি ট্রলারে অবস্থান করা প্রায় পাঁচশ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে জাাতিংসঘ। সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশলেতে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে লেখা চিঠিতে ওই আহ্বান জানান।
এছাড়া শনিবার আরেক বিবৃতিতে সাগরে ভাসা পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে হিউম্যান রাইট ওয়াচ।
জাতিসংঘের চিঠিতে বলা হয়েছে, পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ এখন সাগরে ভাসছে। তাদের জরুরি ভিত্তিতে খাবার, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আশ্রয় দেওয়া প্রয়োজন। রমজানের শুরুতে মানবিক বিপর্যয় রোধের স্বার্থে বাংলাদেশের বন্দর খুলে দিয়ে সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের অবারিতভাবে আশ্রয় দিয়ে গর্ব করার মতো একটা অবস্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। একটি টেকসই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জোরালো আহ্বান জাতিসংঘের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়া এ রোহিঙ্গাবাহী দু’টি ট্রলার প্রথমে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করে। মালয়েশিয়ার নৌবাহিনী তাদের ফিরিয়ে দিলে ট্রলার দু’টি গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বাংলাদেশও তাদের প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, এ অঞ্চলে অনেক দেশ আছে, শুধু বাংলাদেশের কাছে এদের নেওয়ার অনুরোধ আসে কেন? এর আগেও সমুদ্রে ভাসতে থাকা চার শতাধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ নিয়েছে। আর কত? রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার তারা তাদের নিচ্ছেন না কেন? গভীর সমুদ্রে এমনিতই অনেক বড় বোঝা নিয়ে আছে, আর সামর্থ্য নেই।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া সরকার এই রোহিঙ্গাদের নেয়নি। ফলে এখন তারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জলসীমায় নেই। গভীর সমুদ্রে রয়েছে। অতএব এদের গ্রহণ করার কোনো দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের নেই।