জনজম প্রতিনিধি, ১৯ এপ্রিল। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ও সাধারণ মানুষকে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সজাগ করতে অভিনব প্রচারাভিযান শুরু করেছে শেরপুর জেলা পুলিশ। এলাকার বিভিন্ন দোকান ও  ওষুধ বিক্রেতাদের তারা লিফলেট ও ব্যানার দিয়ে বলছে- ‘নো মাস্ক, নো মেডিসিন।’ ‘মাস্ক নাই যার, বাজার নাই তার।’ এমন উদ্যোগ এলাকায় এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলতে শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরার দুটি তাৎপর্য রয়েছে। যে ব্যক্তি মাস্ক পরছেন না স্বাভাবিকভাবে বোঝা যায় সে করোনা সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন নন। যার হাঁচি বা কাশি রয়েছে তাকে তো অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এরই মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে অনেক মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার পরিবারের মধ্যে দেওয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী। মানুষকে তো তার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হবে। তবে বাসা থেকে বের হওয়ার পর সে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে ও মাস্ক পরে, সেটা নিশ্চিত করছি আমরা।’

শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আসাদুজ্জামান রওশন বলেন, ‘সবাই যাতে মাস্ক পরেন এটা নিশ্চিত করতে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, এতে ব্যবসায়ীদের শতভাগ সমর্থন রয়েছে। কোনো ক্রেতা মাস্ক নিয়ে না এলে তাকে প্রথমে সচেতন করবেন দোকানিরা। প্রয়োজনে প্রথম দু-একদিন মাস্ক না আনলে দোকানিরা তাকে সরবরাহ করবেন। এরপর তাকে বলা হবে- মাস্ক পরে না এলে কোনো পণ্য বিক্রি করা হবে না।’

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শেরপুর শহরের বিভিন্ন মার্কেট এবং ওষুধের দোকানে গিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতার করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।