মিলন মাহমুদ, বিশেষ প্রতিনিধি: ১৮ এপ্রিল। জীবিকার একমাত্র মাধ্যম পত্রিকা বিক্রয়ের উপার্জিত অর্থ। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে পত্রিকা বন্ধ হওয়ায় হকাররা হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। তাদের সংসার চলছে অর্ধাহারে ও অনাহারে। তেমনি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পত্রিকার হকাররা কর্মহীন হওয়ায় তাদের দিন কাটছে কষ্টে, অর্ধাহারে। 
উপজেলার ঘোনাপাড়া মহল্লার মৃত জোসন আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল্লাহ শহীদ(৫০)। তিনি ছেলে মেয়েসহ ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে সরকারি লিজ নেয়া জায়গায় ছোট একটি ঘরে বসবাস করেন। ২০ বছর যাবত হকারের পেশায় কোন রকমে সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন তিনি। পত্রিকা বিক্রয়ে যে আয় হয় তার সবটাই সংসারে খরচ হয় বলে কোন কিছুই জমানো সম্ভব হয়নি। অপর দিকে ধল্লা ইউনিয়নের বস্তা গ্রামের মোঃ কাউছার হোসেনসহ সকল হকারদের একই অবস্থা। 
এরই মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা উপজেলা পর্যায়ে আসা বন্ধ হয়ে গেলে হকাররা কর্মহীন হয়ে পরে। উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলি হতাশ হয়ে পড়েছেন। সরকার ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল করাতে তাদের চিন্তার যেন শেষ নেই । সামনে রমজানের কথা মনে করে তাদের চোখে মুখে অভাবের ছাপ। 
হকার শহিদুল্লাহ বলেন, পৌরসভা ও বৃত্তবানরা কিছু খাদ্য সামগ্রী দিলেও আমার সংসারের জন্য যথেষ্ঠ না। এই পরিস্থিতে ভালো নেই আমরা। তিনি বলেন, ফজর নামাজ পড়ে ঢাকার গাবতলী থেকে পত্রিকা এনে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পৌছে দিয়েছি । একটু দেরি হলেই কতজন ফোন দিয়েছে । এখন আর কেউ ফোন দেয় না। আমাদের কেউ খোঁজ খবরও রাখে না । মানু্ষের কাছে হাত পাততেও লজ্জা লাগে। খুবই কষ্টে পরিবার নিয়ে দিনযাপণ করতেছি। 
প্রায় সকল হকারদের বর্তমান সময়ে একই অবস্থা দেখা যায়। তারা অন্তত সংসার চালনার জন্য সরকারি ও ব্যক্তিগত সহযোগীতা পায় তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।