জনমত ডেস্ক, ৬ এপ্রিল। পাকিস্তানেও থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। মারণ ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করা চিকিত্সকদের কাছে নেই পিপিই বা ‘পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট’। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রতিবাদে নামতে হয়েছে তাদের। আর তার জেরেই সোমবার প্রায় একশ ৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের বেলোচিস্তানে। সোমবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নামেন চিকিত্সক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ দেখান তারা। চিকিত্সকদের সংগঠনের মুখপাত্র ইয়াসির খান দাবি করেন, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ প্রতিবাদী স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর লাঠি চালাতে শুরু করে। তারপর অন্তত একশ ৫০ জন প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন ডাক্তাররা। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাজধানী ইসলামাবাদসহ দেশের উন্নত প্রদেশগুলোতে কিছুটা পরিষেবা মিললেও দীর্ঘদিন ধরেই বেলোচিস্তানে কোনো উন্নয়ন করেনি পাকিস্তান সরকার। ফলে করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করার কোনো পরিকাঠামো সেখানে মজুত নেই বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে করোনার আক্রান্ত প্রায় তিন হজর চারশ ৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। আক্রান্তদের মধ্যে ১৯২ জন বেলোচিস্তানের বাসিন্দা।