জনমত ডেস্ক, ৫ এপ্রিল। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এই ঘটনায় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আরো দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় গণধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। রবিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর বিচারক হাকিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার বিবারনী দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে ছাত্রীটি।
এর আগে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিবুল হাসান আসিফ জানান, ভিকটিমে শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী তাদের বসতঘরের পাশে গরুর জন্য খাবার নিতে খড়ের
গাদার কাছে যায়। এসময় তার চাচাতো ভাইসহ আরো দুজন মুখ চেপে ধরে পাশের বাগানে
নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বাগান থেকে স্বজনরা অচেতন অবস্থায় ধর্ষিতাকে
উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আজ রবিবার সকালে
ধর্ষিতার বাবা তিনজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিরা হচ্ছে, রহিম খান (২৫), শামীম হোসেন (২৬) এবং শাহাদাত গাজী (২৪)।
এদের মধ্যে স্থানীয়রা রহিম খানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন জানান, গাঢাকা দেওয়া অন্য দুজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওসি আরো জানান, এরইমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সুমন ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বাবা মা হারা ১৬ বছরের এই মেয়েটিকে খেরুদিয়া গ্রামের এক কৃষক লালন পালন করছেন।