জনমত ডেস্ক, ৫ এপ্রিল। করোনাভাইরাসের মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলমান দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে জরুরি সেবার সঙ্গে নিয়োজিতরা ছাড়া রাজধানীকে কেন্দ্র করে মানুষের আগমন-বহির্গমন ঠেকাতে কঠোর হতে বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) জাবেদ পাটোয়ারী। শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকসহ হাজার হাজার মানুষের ঢাকামুখী ঢল নামার পর ব্যাপক সমালোনার মুখে রাতেই তিনি এ নির্দেশনা দেন। 

আজ রবিবার সকাল থেকে ঢাকার সকল সীমান্তবর্তী এলকা, নৗঘাটসহ সড়ক মহাসড়কে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারি মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের এই দুযোর্গময় পরিস্থির মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে ছুটে আসা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ যেন ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আইজিপির নির্দেশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সব ধরনের চলাফেরা বন্ধ আছে। কেউ ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না, আপাতত ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না। যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করবেন, কোথাও সমবেত হতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলে তার বা তাদের বিষয়টি শিথিলযোগ্য হতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে রবিবার থেকে গার্মেন্টস খোলার খবরে শনিবার দিনভর আশেপাশের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার শ্রমিককে ঢাকার পথে দেখা যায়। এই দৃশ্য সবাইকে আতঙ্কিত করে তোলে। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনার মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শতশত নারী-পুরুষের পায়ে হাঁটা মিছিল ও ফেরীতে শত শত মানুষের গাদাগাদি করে পদ্মা পার হওয়ার ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। 

দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্তের মধ্যে কারখানা খোলার সিদ্ধান্তের জন্য মালিকদের এবং হাজার হাজার মানুষকে দলে দলে এতোটা পথ পাড়ি দিতে দেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে রাতে ১১ এপ্রিল সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি পর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানায়। এর পরও পরিস্থিতি উপর কড়া নজরদারি চলছে।