জনমত ডেস্ক, ৫ এপ্রিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বেশির ভাগ মিরপুর অঞ্চলে। এর মধ্যে টোলারবাগে ছয়জন এবং মিরপুরের অন্যান্য এলাকায় পাঁচজন বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। রবিবার দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে মিরপুর এলাকার ১১ জন, বাসাবো এলাকার ৯ জন এবং নারায়ণগঞ্জের ১১ জন।’ ফ্লোরা বলেন, ‘সারা দেশে ১৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের শরীরে। এরমধ্যে ১৩ জনের সংক্রমণ পেয়েছি আইইডিআরের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে। আরও পাঁচজনের সংক্রমণ পেয়েছি অন্যান্য হাসপাতালের পরীক্ষা ফলাফল হিসেবে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮ জনে।’

এছাড়াও নতুন আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ১১-২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ এর মধ্যে দুজন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে চারজন, ৫১-৬০ বছর বয়সের মধ্যে নয়জন, ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন দুজন। ১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন এবং নারী তিনজন। ১৮ জনের মধ্যে ১২ জনই ঢাকার, নারায়ণগঞ্জের পাঁচজন এবং মাদারীপুরের একজন বলেও জানান তিনি।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘ গত ২৪ ঘণ্টায় একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে নয়জনে দাঁড়িয়েছে। যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৫৫ বছর। তিনি পুরুষ এবং নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজন সুস্থ হয়েছেন। মোট এ সংখ্যাটি ৩৩। এখন বর্তমানে সংক্রমণ রয়েছে এরকম সংখ্যা ৪৬। যার মধ্যে ৩২ জন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ১৪ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের লক্ষণ, উপসর্গ খুবই মৃদু। তারা আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’

এদিকে বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ এক হাজার ৯৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ হাজার ৭২০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৪ জন।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ১১ হাজার ৩৫৭। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন আট হাজার ৪৫২ জন।