করোনা ভাইরাসের কারণে জনগণের নিরাপদ স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বৈশ্বিক বিষয়ের কথা বিবেচনা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ জাতীয় অনুষ্ঠানে পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভা শেষে পুনর্বিন্যাসকৃত অনুষ্ঠানের বিস্তারিত জানানো হবে।

গতকাল গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী জাতীয় উদযাপন কমিটির এক সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানাসহ জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কষ্টের কথা চিন্তা করে জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন। জনগণের অসুবিধা হতে পারে এমন কথা বিবেচনা করেই মুজিববর্ষের মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তা জানানো হবে।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ১৭ মার্চ ব্যাপক জনসমাবেশে হবে না। জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর ও টুঙ্গিপাড়ায় যে অনুষ্ঠানমালা রয়েছে তা অনুষ্ঠিত হবে। গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশনাসহ যেসব পরিকল্পনা রয়েছে তা বছরব্যাপী অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনসমাগম নিরুৎসাহিত এবং জনগণের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সেভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।