ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। নিহতের সংখ্যা বেড়ে সর্বশেষ ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। আর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০-রও বেশি। এদিকে আক্রান্তদের বিনা খরচে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দিল্লির সহিংসতার ঘটনায় উস্কানিদাতা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার মামলায় কেন্দ্র সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে এদিন বাড়তি সময় চায় কেন্দ্র।
এর আগে উস্কানিদাতা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত এফআইআর দায়ের করার আদেশ দিয়েছিলেন যে বিচারপতি এস মুরলীধর তাকে গতকাল বুধবার রাতেই তাকে বদলি করে দিল্লি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দিল্লিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হন সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিংরা। রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ শেষে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছি। কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার নীরব দর্শকের মতো আচরণ করছে। রাষ্ট্রপতি আমাদের দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরের বদলি নিয়ে একযোগে সরব হলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরাও। প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘এই পরিস্থিতিতে মধ্যরাতে বিচারপতি মুরলীধরের বদলি শুধু আশ্চর্যের নয়, এটা নিঃসন্দেহে দুঃখের ও লজ্জার। কোটি কোটি মানুষের ন্যায়নিষ্ঠ বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে। কিন্তু বিচারব্যবস্থার কণ্ঠরোধের চেষ্টা ও মানুষের আস্থা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা দুঃখজনক।’ অপরদিকে, এ প্রসঙ্গে বিচারক লোয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি লিখেছেন, ‘সাহসী বিচারক লোয়ার কথা মনে পড়ছে, যাঁকে বদলি করা হয়নি।’
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লি যে ব্যর্থ সে কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দিল্লিতে এতো মানুষের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।