মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ৭ ফেব্রুয়ারি
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অটোবাইক চালক আয়নাল হত্যা মামলার রহস্য তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার ২৭ দিনের মধ্যে উদঘাটন করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংগাইর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন পিপিএম এই কিলিং মিশনের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। সেই সাথে ছিনতাই হওয়া অটোবাইকটি ও মোবাইল ফোনটি নেত্রকোনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সিংগাইর থানা পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, নিহত আয়নাল ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হেমায়েতপুর এসকেএইচ গার্মেন্টেস এ চাকুরি করতেন। ক্যান্সার আক্রান্ত মাদ্রাসায় পড়ুয়া বড় সন্তান মিসকাতুল ইসলামের (৮) হার্টের চিকিৎসার ব্যয় বহনের হিমশিম খেয়ে দুই মাস আগে আয়নাল গার্মেন্টেসের চাকুরি ছেড়ে ইজিবাইক চালাতে শুরু করেন। গত ১০ জানুয়ারি দুপুরে আয়নাল (৩০) ইজিবাইক নিয়ে বেড় হয়ে রাতে আর বাসায় ফিরেনি। সন্ধার পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও ওই রাতে তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে দিন ১১ জানুয়ারি সিংগাইর উপজেলার ধল্লা এলাকায় আয়নালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে মো. গোলাপ আলী (৩২) বর্তমান ঠিকানা সাভার উপজেলার হেমায়েতপুর ফুলবাড়ীয়া এলাকা। এছাড়া হত্যার সাথে আরেক আসামী একই এলাকার আসন আলীর ছেলে নুর আমিন (৩১)কে আটক করা হয়। আসামীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি গোলাপের দখল থেকে লুন্ঠিত অটোবাইক এবং ধর্মপাশা থানার জয়শ্রী মেহশপুর এলাকা হতে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মর্র্কতা এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, আয়নালকে হত্যার পর অটোবাইকটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। এর পরবর্তীতে ঢাকার রূপনগর এলাকায়। সেখান থেকে একটি ভাড়া করা ট্রাকে অটো বাইকটি প্রথমে নিয়ে যায় সুনামগঞ্জ এলাকায়, এরপর নেত্রকোনায়। আয়নাল কিলিং মিশনে অংশ নেয়া দুজন স্বিকার করেছে তাদের অটোবাইক নিতে সহায়তা করেছে গাইবান্ধা জেলার এক যুবক। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে। আসামীদের আগামীকাল শনিবার আদালতে সোর্পদ করা হবে।