বাড়ির ভিত খুঁড়তে গিয়ে সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলেছে। এই সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সুড়ঙ্গের দেখা পান বাড়ির মালিক  জিয়ারুল মল্লিক। খবর ছড়াতেই উৎসাহী মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে।

জানা গেছে, পুলিশ আপাতত জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। সুড়ঙ্গের ভেতর কি রয়েছে, তা আজ শনিবার খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্ধমানের আউশগ্রামের গুসকরা লাগোয়া ভাতার থানার মাহাতা গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা জিয়ারুল মল্লিকের বাড়ি তৈরির জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ চলছিল। দিনভর কাজের পর তা তদারক করছিলেন বাড়ির মালিক জিয়ারুল। সে সময় ভিতের এক অংশে ধস নামে। তার কারণ খতিয়ে দেখার জন্য মাটি সরাতেই বেরিয়ে আসে বিশাল সুড়ঙ্গ। তা দেখে প্রতিবেশীদের ডাকেন জিয়ারুল। গর্ত আরও চওড়া করা হয়। আলো ফেলা হয় তার ভেতরে। তাতে দেখা গিয়েছে সুড়ঙ্গটি বেশ লম্বা ও চওড়া। এর স্হাপত্য রীতিও সুন্দর। তবে রাতের অন্ধকারে কেউ ভেতরে ঢোকার সাহস দেখাননি। সুড়ঙ্গের ভেতর বড় বড় গাছের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে। বিষধর সাপও থাকতে পারে এই ভয়েই ভেতরে যাননি কেউ।

এদিকে, বাড়ির ভেতর সুড়ঙ্গ এবং তাতে প্রচুর গুপ্তধন হীরে-জহরত-মোহর রয়েছে বলে এলাকায় খবর রটে যায়। আশপাশের গ্রাম থেকে শত-শত উৎসাহী বাসিন্দারা সুড়ঙ্গ দেখতে ভিড় করেন। খবর পেয়ে সেখানে যায় থানার পুলিশ। ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। আপাতত সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। রাতভর সেখানে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি  খবর দেওয়া হয়েছে পুরাতত্ত্ব বিভাগেও।

স্হানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার স্হাপত্য বিশেষজ্ঞরা এলাকায় যাবেন। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল ওই স্হল পরিদর্শনে যেতে পারেন। 

পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুড়ঙ্গের গঠন শৈলী ও ইটের আয়তন দেখে সুড়ঙ্গটির প্রাচীনত্ব অনুমান করা সম্ভব। এক সময়  এই এলাকায় ইংরেজদের উপনিবেশ ছিল। এটি তাদের তৈরি কোনও নির্মাণ কিনা নাকি কোনও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।