আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে নালিশ করে কোনও কাজ হয়নি। তাই এবার সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিল পাকিস্তানের সাংসদরা। সোমবার পাকিস্তানের সংসদে এই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানায় তারা। শুধু তাই নয়, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে কাশ্মীর দখল করার হুমকিও দিয়েছে। এর ফলে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এশিয়ার এই অঞ্চলে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (JUI-F)-এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার অনুরোধ করা হয়। এই দলের নেতা মৌলানা আবদুল আকবর ছিত্রালি তো আবার একধাপ এগিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার আরজি জানিয়েছে। আর তার এই আবেদনকে সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তানের অধিকাংশ সাংসদ।

মৌলানার দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা করা মাত্রই সজাগ হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি। তারপরই কাশ্মীর নিয়ে কয়েক দশক ধরে দুদেশের মধ্যে যে টানাপোড়েন চলছে তাতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে। আর এর ফলে সমাধান হবে এই সমস্যার। পাকিস্তানের ওই মৌলবাদী নেতার সমর্থনে সরব হয়ে বিষয়টিকে সমর্থন জানায় পাকিস্তানের বেশিরভাগ সাংসদ। এর ফলে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মানুষের স্বপ্ন ও এই উপমহাদেশকে ভাগ করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিও বাস্তবরূপ পাবে।

অন্য ইসলামিক দেশগুলি কাশ্মীরের মানুষের জন্য কিছু করবে না বলে দাবি জানিয়ে মৌলানার কথার সমর্থন করে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দলনেতা খাজা আসিফ। তাঁর কথায়, ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন OIC বর্তমানে মৃত একটি সংগঠন। তিনটি-চারটি দেশ ছাড়া এদের কোনও সদস্য নিজেদেরই রক্ষা করতে পারবে না। তারা কাশ্মীর নিয়ে কী করে কথা বলবে।

তিন ঘণ্টার অধিবেশনের শেষ লগ্নে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে পাকিস্তানের সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলি মহম্মদ খান। দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়ে বলে, ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা করে জম্মু ও কাশ্মীর দখল করুন।