রাজধানীর হাতিরঝিলে খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার এন্টার প্রাইজের কর্মকর্তা রাশেদ খান হেমার ড্রিল দিয়ে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছেন।
ভবনটি ভাঙার কাজ উদ্বোধন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমাদের এই সুন্দর ঢাকার দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলের ওপর অপরিকল্পিতভাবে, বেআইনিভাবে এই বিজিএমইএ ভবনটা গড়ে উঠেছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য, দেশের জন্য, পরিবেশের জন্য এবং সুন্দর ঢাকার জন্য চমৎকার ঢাকার বুকের ওপর একটা বিষফোঁড়ার মতো ছিল।’
এর মাধ্যমে ঠিকাদারি কম্পানি ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করল আজ। মন্ত্রণালয় ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত রয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী।
আলোচিত এই ভবন ভাঙা হবে সনাতন পদ্ধতিতে। ভবন ভাঙার পর লোহা, কাচ, সিলিংসহ সব সামগ্রী নিয়ে নেবে ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ। বিনিময়ে তারা রাজউককে এক কোটি দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে। এ ছাড়া ভবন ভাঙার পর সব বর্জ্য ফোর স্টার গ্রুপ নিজ দায়িত্বে সরাবে।
বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আদালতের রায়ের পর গত বছরের ১৭ এপ্রিল উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিল রাজউক। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়ে। ভবনটি ভাঙতে সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি কম্পানি সর্বোচ্চ এক কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজউককে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পরে ভবনটি ভাঙতে অনাগ্রহ দেখালে প্রতিষ্ঠানটির জামানত বাতিল করে রাজউক। পরবর্তী সময়ে ভবনটি ভাঙতে দ্বিতীয় দরদাতা হিসেবে ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তি করে রাজউক। কম্পানিটি এক কোটি দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা রাজউককে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। বিনিময়ে বিজিএমইএ ভবনের দুটি বেইসমেন্টসহ ভবনের সব সামগ্রী নিয়ে নেবে তারা।