সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছে। নতুন তারিখ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে। আর ভোটগ্রহণের কারন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময় পেছানো হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এই পরীক্ষা। 

আজ শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের জরুরি সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার হেয়ার রোডস্থ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।  

কয়েক ঘণ্টার সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, একটি জটিল পরিস্থিতি ছিল। তাই কিছুটা সময় লেগেছে। বিষয়টা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তার সঙ্গে শেয়ার করেছি, ১ তারিখের পরীক্ষা পেছানো সম্ভব কি না। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ তারিখ পূজার ঐচ্ছিক ছুটি ছিল। সেখানে ৩০ তারিখ পূজার দিন নেই, সে প্রেক্ষাপটে আমরা ভোটের দিন ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছিলাম।

তিনি বলেন, সেটা মাথায় রেখে যাতে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না আসে সেটি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও সম্মত হয়েছেন। তার দপ্তরের কাজ শেষ করে তারা ১ তারিখের পরীক্ষা পিছিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। সে কারণে কমিশনারদের সঙ্গে মিটিং করেছি এখন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচন ৩০ তারিখ থেকে পিছিয়ে ১ তারিখ করতে রাজি হয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। সকল পরীক্ষার তারিখ পুনঃনির্ধারণ করা হবে। রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন পরীক্ষাসূচি জানিয়ে দেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন পেছানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পেছাতে পারছিল না। এসএসসি পরীক্ষা পুনঃনির্ধারণ করা যায় কি না সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের কাছে মতামত চাওয়া হয়। আমরা পরীক্ষা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর সিটি নির্বাচন পিছিয়ে ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারিতে আনা হয়।