ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুদিনের কর্মসূচিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১০ জন।
শুক্রবার এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্যও ।
ওদিকে, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
তারা বলেন, আমরা ধর্মীয় অধিকার পালন করতে পারবো না, তাই এই অনশন করছি। আমরা এখনো কোনো আশ্বাস পাইনি নির্বাচন কমিশন থেকে। যে তারা এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।
শিক্ষার্থীদের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ডাকসু সহ বিভিন্ন সংগঠন। সমর্থন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে এসে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন এটি পুনর্নির্ধারণ করা, পিছিয়ে নেওয়া বা এগিয়ে আনা সব নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।
দুদিনের অনশন কর্মসূচিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ১০ জন শিক্ষার্থী। গুরুতর অসুস্থ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে।
এদিকে, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার সকালে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশেন-ক্যাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তারা।
তারা বলেন, আমরা ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি। কোনো হিন্দু ভোট কেন্দ্রে যাবেন না, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবেন না। আমরা ৩০ তারিখ সকাল ৮টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঘট পূজা করে রাজপথেই অঞ্জলি নেব। আর কালো পতাকা মিছিল করব। এ জন্য কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে এর দায় সরকার এবং কমিশনকে নিতে হবে।
একই সঙ্গে নির্বাচনের দিন কালো পতাকা মিছিল ও প্রেসক্লাবের সামনে পূজা করার ঘোষণা দিয়েছে হিন্দু মহাজোট।