স্টাফ রিপোর্টার : সাভারে নব্য জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ এর স্ত্রী শায়েলা শারমীনকে আটক করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা।

আজ সোমবার রাতে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গকুলনগর এলাকায় সৌদি প্রবাসী জনৈক আখতার হোসেনের দোতলা বাড়ির নিচ তলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে পুলিশ। গকুলনগর এলাকাটি জাহাঙ্গীরণগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে। আজ সোমবার রাত ৯টারদিকে সিটিটিসি’র সদস্যরা অভিযান শেষ করেছেন। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, সোমবার বিকাল থেকে গোপন সংবাদের ভিতিত্বে ওই দোতলা বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশী চালিয়ে বেশ কয়েটি হাত বোমা, ৩টি খেলনা পিস্তল, ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জমদী উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ওই জেএমবির স্ত্রী শায়েলা শারমীনকে আটক করা হয়। নব্য ওই জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান তারভীর আহমেদ পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

আশুলিয়ার থানার এস আই আব্দুল জলিল জানায়, আটক শায়লা শারমিন গাজীপুর জেলার সদর থানার বহরিয়াচালা গ্রামের মো. দুলাল আহমেদের মেয়ে। শায়লা শারমিনের স্বামীর নাম তানভীর আহাম্মেদ (২৪)। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ৪৬ তম আবর্তনের আইআইটি বিভাগের শিক্ষার্থী। সে ঢাকা বনশ্রীর (ব্লক এল) মো. আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত শায়লা শারমিনের রবাত দিয়ে আরও জানায়, গত দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে দুইজেনর পরিচয় থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে। গত ৫ মাস আগে শায়লার বাপের বাড়ি থেকে তানভীর তাকে আশুলিয়ার গোকুলনগর এলাকায় নিয়ে এসে বসবাস শুরু করে। গত ২৫ ডিসেম্বর তারা গ্রেপ্তার হওয়া বাড়িতে ভাড়া উঠে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার অভিযান শেষে বলেন, উদ্ধার করা বিভিন্ন সরঞ্জামদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করতে চেয়েছিলো ওই নব্য জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান। তাকে আটকের প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
এছাড়া তার সাথে অন্য কোন জেএমবির সদস্যদের যোগাযোগ ছিলো কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গত দেড় মাস আগে ওই নব্য জেমবি’র আইটি বিভাগের প্রধান ও তার স্ত্রী দোতলা বাড়ির নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। বাড়িটি সবসময় বাহিরে থেকে তালা বন্ধ থাকতো বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই বাড়িতে জেএমবি আইটি বিভাগের প্রধান থাকতো এমন কথা শুনে সন্ধ্যা থেকে ওই বাড়ির আশপাশে ভিড় করে এলাকাবাসী।